প্রতিবেদন, তনুশ্রী গুহ-ঃ শৈশব হল আনন্দের স্বপ্ন দেখার উৎসস্থল। কিন্তু সেই শৈশব যখন পারিবারিক অর্থনৈতিক সমস্যার প্রভাবে দায়িত্বের ভার কাঁধে বয়ে নিয়ে চলে, তখন সেই শৈশব যেনো আর আনন্দের স্বপ্ন দেখার সাহস পায়না। এযেনো এক খুবই কঠিন বাস্তব সত্য।
কোনো শিশুর শৈশব যখন তার হাতে বই খাতা তুলে দেওয়ার পরিবর্তে তার হাতে ইট সামগ্রী দিয়ে কাজের ভার তুলে দেয় তখন সেই শিশু যেনো রঙিন পৃথিবী দেখা ভুলে যায়। সমাজে আজও শিশুশ্রম, শিশুদের দুচোখের স্বপ্নকে দেখতে বাঁধা দেয়। যে বয়সটা তাদের পড়াশোনা ও খেলাধূলো করার জন্য, সেই বয়সটা তাদেরকে দেখায় বিশ্বের এক নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে। যখন কোনো শিশু তার পারিবারিক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং তার পরিবার যখন তাকে পথ চেনায় ঘরের পরিবর্তে চায়ের দোকানে সারাদিন কাজকরে দুমুঠো খাবারের জন্য অপেক্ষা করা অথবা অপেক্ষা করেও ঠিকঠাক মতো তা না পাওয়া, তখন সেই শিশুটির কাছে শৈশব বলতে কি বোঝায়! রঙিন স্বপ্ন নাকি কঠিন পৃথিবীর চরম নিষ্ঠুরতা?
শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আইন কিন্তু বহুদিন আগে থেকেই প্রণীত হওয়া আছে। ব্রিটিশ আমলেও কিন্তু ১৯৯৩ সালে Children (Pledging of Labour) Act প্রণীত হয়। এই আইনে কিন্তু স্পষ্টতই বলা হয় যে, কোনো শিশুকে যদি তার পিতামাতা বা অভিভাবক অপরের কাছে কাজ করার জন্য গচ্ছিত রাখে তাহলে সেটি কিন্তু দণ্ডনীয় অপরাধ। এবং সেখানে শিশুশ্রম বন্ধের কথাও কিন্তু বলা হয়।
অর্থাৎ শিশুশ্রম বন্ধের জন্য অনেক আগে থেকেই কিন্তু বহু প্রচেষ্টা চালু হয়। কিন্তু শিশুশ্রম আজও সমাজে বর্তমান। কিন্তু এর জন্য কে দায়ী!! পারিবারিক আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে পরিবার তার শিশুর শৈশবকে রঙিন দুনিয়া দেখানোর পরিবর্তে নিষ্ঠুর পরিস্থিতির কাছে হার মেনে তাকে দেখাচ্ছে মাথায় ইট বোঝাই করে নিয়ে চলার বাস্তবতাকে। যে শিশুটি তার শৈশবের স্বপ্নকে হারিয়ে ফেলে তার কাছে শৈশবে প্রকৃত অর্থ কি আনন্দ নাকি কঠিন সমাজের নির্মম চিত্র, কোনটা? অট্টালিকার প্রাসাদে জন্মানো এক শিশুর কাছে শৈশবের সংজ্ঞা এবং আর্থিক অভাবে শৈশব দেখা এক শিশুর কাছে শৈশবের সংজ্ঞা ভিন্ন। অথচ দুজনেই শিশু। কিন্তু কঠিন সমাজের কঠিন বাস্তবতায় আজও অনেক শিশুরা হারিয়ে ফেলছে তাদের শৈশবের প্রকত সময়গুলি।
Check out for more news on https://www.facebook.com/AMPTvIndia
Subscribe for more stories https://www.youtube.com/c/AMPTvIndia
Comments