চারিদিক দিয়েই ঘিরে রেখেছিল তালিব-যোদ্ধারা। কাবুল জয়ের পর আরও শক্তিশালী তালিবান বাহিনীর বিপুল যোদ্ধার সঙ্গে এঁটে ওঠা সম্ভব ছিল না কন্দহরের দুর্গম মরুপ্রান্তরে আটকে পড়া হাতে গোনা কয়েক জন ব্রিটিশ সেনার পক্ষে। তাঁদের উদ্ধারে রাতের অন্ধকারে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালাল ব্রিটেনের বায়ুসেনার একটি বিশেষ দল (স্পেশাল এয়ার সার্ভিস)।
গত রবিবার কাবুল দখলের অনেক আগেই কন্দহার দখল করেছিল তালিবান। কন্দহরের ওই দুর্গম এলাকায় এক সময়ে প্রায় ২৬ হাজার বিদেশি সৈন্য মোতায়েন ছিল। বর্তমানে ওই এলাকা তালিব যোদ্ধাদের দখলে। আর সেই এলাকাতেই তালিবান বাহিনীর চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিলেন ২০ জন ব্রিটিশ সেনা। ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন করে একটি গোপন আস্তানায় পাঁচ দিন কোনও রকমে বেঁচেছিলেন তাঁরা।
জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারের জন্য ব্রিটেনে বার বার ফোন করা সত্ত্বেও তা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ, সেই সময়ে কাবুল থেকে ব্রিটিশনাগরিকদের দেশে ফেরাতেই ব্যস্ত ছিল সে দেশের বায়ুসেনা। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হতে থাকায় শেষমেশ বুধবার রাতের অন্ধকারে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল এয়ার ফোর্স।
উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ব্রিটিশ বায়ুসেনার বিশ বছরের সঙ্গী ‘হারকিউলিস’ সামরিক বিমানকে।হারকিউলিসকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উপসাগরীয় আকাশ পথে। এই অভিযানের কথা যাতে কেউ টের না-পায়, সে জন্য বিমানের সমস্ত সেন্সরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, কোনও ব়্যাডার ওই বিমানের গতিবিধি ধরা পড়া সম্ভব নয়।
একেবারে হলিউড ছবির মতোই কন্দহরের মরুভূমিতে অবতরণ করেছিল হারকিউলিস। তার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল আটকে পড়া ওই ব্রিটিশ সেনাদের। তাঁদেরই এক জন বলছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর অভিযান ছিল। আমরা ওখানে আফগান সেনার সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ছিলাম। শুক্রবার তালিবান বাহিনী কন্দহর আক্রমণ করায় বহু আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। তার পরই আমরা সম্পূর্ণ একা হয়ে যাই এই এলাকায়।
Check out for more news on https://www.facebook.com/AMPTvNews
Subscribe for more stories https://www.youtube.com/c/AMPMusicChannel
Comments