প্রতি বছর মা দুর্গা আসে আর ঢাকের বাদ্যি বলে ওঠে “ঠাকুর থাকবে কতক্ষন ঠাকুর হবে বিসর্জন” । কিন্তু মায়ের বিসর্জন তো হয় না । প্রতি মুহূর্তে আমাদের মধ্যে হাজার হাজার দুর্গা জন্ম নেয়। মায়ের বিসর্জনের পর আসে বিজয়া দশমী। এই বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যেই জয়শ্রী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়জিত হয়ে ছিল “ বিজয়া সম্মিলনী “ অনুষ্ঠান ।
গত ১৪ই অক্টোবর জ্ঞ্যান মঞ্চে আয়জিত হয় এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটির উদ্যক্তা জয়শ্রী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জয়শ্রী দাস । এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে জ্ঞ্যান মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট । উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক জগতের এক ঝাঁক উজ্জ্বল নক্ষত্র । উপস্থিত ছিলেন জয়শ্রী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জয়শ্রী দাস , বিখ্যাত অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত নৃত্য শিল্পী কোহিনূর সেন বরাট । উপস্থিত ছিলেন এথনিক ডান্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায় এবং আরো অনেকে ।
অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় “মায়ের আঁচল” দিয়ে । যাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়শ্রী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জয়শ্রী দাস , ভাষ্যে সন্মান দাস এবং একাহারি নৃত্য পরিবেশনে দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায় । তাছাড়াও মানুষ সাক্ষী থেকেছে অসাধারন কিছু মন মাতানো উপস্থাপনার । যেমন নৃত্যশল্পী অর্পণ সরকারের উপস্থাপনা “দেবী” , পলি গুহ এবং সেঁজুতি রায় এর উপস্থাপনা “ কৃষ্ণকলি ও হয়তো বা সেই ময়না পারার মেয়ে “ , সুস্মিতা নন্দীর একক নৃত্য পরিবেশন, দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থাপনা “ মায়ের আগমনী” , আয়ুশী ঘোষের “ মন মোর মেঘের সঙ্গী “ , শতাব্দী ভৌমিকের একক নৃত্য পরিবেশন , তুহিন চট্টোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশন “ কালী দা মাদার “ , আর্শিয়া ঘোষের নৃত্য পরিবেশন “কালী” , মধুশ্রী ঘোষাল, গৌরব ঘোষাল, প্রিয়াঙ্কা ঘোষের নৃত্য পরিবেশনা , নৃত্য শিল্পী সুজয় ঠাকুরের নৃত্য পরিবেশন “ আগমনী ও স্বাধীনতা “ , আকাঙ্ক্ষা ডান্স একাডেমির উপস্থাপনা “প্রাণভালায়া” ।
এছাড়াও বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী কোহিনূর সেন বরাটের “ দুগ্গা মায়ের গপ্পো “ কেড়ে নিয়েছে সকলের হৃদয় । এই “দুগ্গা মায়ের গপ্পো” তে সঙ্গীত এবং ভাষ্যে ছিলেন শিল্পী পোখরাজ । অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবীর সেন বরাট এবং ঊর্মিলা ভৌমিক । সকলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান । প্রত্যেকের অক্লান্ত পরিশ্রমই সাফল্যমন্ডিত করে তোলে এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানটিকে । শুধু বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানই না জয়শ্রী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জয়শ্রী দাসের আরো একটি লক্ষ্য হলো দুঃস্থ শিল্পী দের পাশে দাঁড়ানো । করোনা মহামারির পর অনেক শিল্পী তার প্রিয় মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল । সেই সব শিল্পী দের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের আবার মঞ্চে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যোগী জয়শ্রী ফাউন্ডেশন । আর তাঁদের এই মহৎ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পাশে দাড়িয়েছেন নৃত্য শিল্পী কোহিনূর সেন বরাট এবং নৃত্য শিল্পী দ্রাবিন চট্টোপাধ্যায়
Comments