top of page
For Newsletter
new logo.jpg

কেকে নিজের এক 'ভালোবাসা'কে কাছে পেতে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজের আরেক 'ভালোবাসা' গানকে।

তাঁর গলায় জীবন্ত হয়ে উঠত একের পর এক ভালোবাসার গান। হিন্দি রোমান্টিক গানের প্লে-লিস্ট অসম্পূর্ণ কেকে-কে ছাড়া। সেই কেকে নিজের এক 'ভালোবাসা'কে কাছে পেতে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজের আরেক 'ভালোবাসা' গানকে।



কৈশরের প্রেমকে বিয়ে করতে গান ছেড়ে সেলসের চাকরি নিয়েছিলেন তিনি, যদিও খুব অল্প সময়ের জন্যই। যে কেকে তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মঞ্চে পারফর্ম করে গিয়েছেন, গানে ডুবে থাকতেন যে মানুষটা, সেই কেকে-ই নিজের কৈশোরের ভালোবাসাকে নিজের করে নিতে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন গান নিয়ে কেরিয়ারকে।


১৯৯১ সালে জ্যোতি লক্ষ্মী কৃষ্ণাকে বিয়ে করেন কেকে। বলিউডে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার অনেক আগে, টিনএজ থেকেই জ্যোতির সঙ্গে কেকে-র প্রেম। কিন্তু ছোটবেলার সুইটহার্টকে বিয়ে করার জন্য শর্ত দিয়েছিলেন জ্যোতির বাবা-মা।

কেকে তখন বেকার। কৃষ্ণকুমার কুনাথ তখনও 'কেকে' হয়ে ওঠেননি। এদিকে দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে গেলে আগে চাকরি পেতে হবে। এমনই শর্ত দিয়েছিলেন কেকে-র স্ত্রী জ্যোতির বাবা-মা। আর তারপরই জ্যোতিকে বিয়ে করতে গানটাই ছেড়ে দিলেন কেকে ।



যে গান নিয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন, ভালোবাসার সেই গান ছেড়ে সেলসের চাকরি নেন কেকে। যদিও ৩ মাসের জন্য। তারপর সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ধীরে ধীরে শুরু হয় গান নিয়ে বলিউডে পথ চলা। এক টিভি শোয়ে সাক্ষাৎকারে এসে নিজেই একথা জানিয়েছিলেন সবার প্রিয় কেকে।



জ্যোতিকে বিয়ের ৮ বছরের মাথায় ১৯৯৯-তে কেকে-র প্রথম অ্যালবাম 'পল' রিলিজ হয়। ২ দশক পেরিয়েও যে গানে মজে আট থেকে আশি। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কেকে-কে। মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই গান-ই ছিল তাঁর শেষ গান।

movie-entertainment-logo-vector-38310588.png
bottom of page