করোনা অতিমারির কবলে পড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবন আজ বিপর্যস্ত । তার মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চোখরাঙানি তো আছেই। ইতিমধ্যে এমনই এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যশ তছনছ করে দিয়ে গেছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। সেই বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে অনেক মানুষ তার মধ্যে একজন হলেন নীলোৎপল বর্মন এবং তার সংস্থা শীতলিয়া মা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
এই মানুষগুলোর উদ্যোগে তারা যশ সাইক্লোন এর পরেরদিন থেকেই পৌঁছে গেছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লকে এবং বিতরণ করেছেন বিভিন্ন গ্রোসারির জিনিস যেমন শুকনো খাবার, মোমবাতি , দেশলাই , স্যানিটারী ন্যাপকিন ,পানীয় জলএবং শিশুদের জন্য দুধ সমেত বিভিন্ন খাদ্য বস্তু। তাদের আরেকটি মানবিক উদ্যোগ "কমিউনিটি কিচেন" । তারা প্রায় 34000 প্লেট খাবার বিতরণ করেছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় তথা সন্দেশখালি , হিঙ্গলগঞ্জ , উত্তর রূপমারি , গোসাবা , পাখিরালা , জটিরামপুর এবং আরও বিভিন্ন জায়গায় , মূলত আদিবাসী এলাকায় এবং তার সাথে তারা বিভিন্ন মানুষদেরকে পরিষ্কার জামা কাপড় বিতরণ করেছেন ।
সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের মূল জীবিকা নদী কেন্দ্রিক আর তাই জীবিকা অর্জনের জন্য তারা নদীতে যায় মাছ ধরতে এবং যেখানে তাদের সম্মুখীন হয় বিভিন্ন বিপদের, যেমন বাঘ কুমির। সেই সমস্ত আক্রান্ত মানুষদের জন্য এই সংস্থা প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে থাকেন ।
ত্রাণ এবং পর্যটনের কারণে যে বিপুল পরিমান প্লাস্টিকজাত দ্রব্য সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে জমা হয় তা এই সংস্থা সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে খাদ্য , জল এবং মূল্যের বিনিময়ে কিনে নেয় যা তারা বাঁধ নির্মাণের মত কিছু ভাল উদ্যোগে কাজে ব্যবহার করে ।
সারা বছরই এরা বিভিন্ন মানবিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকে। শীতলিয়া গ্রামের একটি আদিবাসী স্কুলের বাচ্চাদের তারা প্রতি মাসে খাবার ও শিক্ষার সামগ্রী যেমন খাতা পেন্সিল বিতরণ করে। মেয়েদের স্বনির্ভর করতে তাদের "আনন্দ নিকেতন পাঠশালা" তে হাতের কাজ যেমন ব্যাগ তৈরি , সেলাই শেখানো হয় । শুধু তাই নয় সাংস্কৃতিক জগতে আগ্রহী করে তোলার জন্য বাচ্চাদের নাচ , গান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
Check out for more news on https://www.facebook.com/AMPTvNews
Subscribe for more stories https://www.youtube.com/c/AMPMusicChannel
Comments